
ডা. এস হাসানের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, ফুসফুস ক্যান্সারের প্রায় সব রোগীর জীবনে ধূমপানের ইতিহাস থাকে। দীর্ঘদিনের ধূমপান শেষ বয়সে ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় নিশ্চিত করে তোলে।
ফুসফুস ক্যান্সার ও ধূমপানের সরাসরি সম্পর্ক
ডাক্তারি জীবনে অসংখ্য ফুসফুস ক্যান্সারের রোগী দেখেছি। বিস্ময়কর বিষয় হলো, একজনও রোগীকে পাইনি যার জীবনে ধূমপানের অভ্যাস ছিল না। কেউ বিড়ি, কেউ সিগারেট—কোন না কোন সময়ে ধূমপানের সাথে জড়িত ছিলেন।
বিষয় | তথ্য |
---|---|
ডাক্তার | ডা. এস হাসান |
অভিজ্ঞতা | ফুসফুস ক্যান্সারের প্রায় সব রোগীর ধূমপানের ইতিহাস আছে |
ঝুঁকি | ক্রনিক স্মোকারদের জন্য শেষ বয়সে ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় ৯৯% |
বাকি সম্ভাবনা | মাত্র ১% ভাগ্য নির্ভর |
উপদেশ | ধূমপান এখনই বন্ধ করতে হবে |
ক্রনিক স্মোকারদের ভয়াবহ বাস্তবতা
যারা ক্রনিক স্মোকার, অর্থাৎ দীর্ঘ সময় ধরে ধূমপান করেন, তারা যদি শেষ বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকেন তবে তাদের ৯৯% ক্ষেত্রেই ফুসফুস ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বাকি ১% নির্ভর করে ভাগ্যের ওপর।
একটি বাস্তব উদাহরণ
৬৫ বছরের এক রোগী, যিনি যুবক বয়স থেকে নিয়মিত বিড়ি ও সিগারেট খেতেন, অবশেষে ফুসফুস ক্যান্সারের কাছে হার মানতে বাধ্য হয়েছেন। দীর্ঘ সময়ের ধূমপানের কারণে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা ভেঙে পড়ে এবং ক্যান্সার ধীরে ধীরে তাকে গ্রাস করে ফেলে।
সমাজ ও পরিবারের জন্য বার্তা
এই অভিজ্ঞতা থেকে পরিষ্কার বোঝা যায়, ধূমপান শুধু নিজেকে নয়, পরিবার ও সমাজকেও ঝুঁকির মুখে ফেলে। তাই আপনার প্রিয়জন কেউ ধূমপান করলে এখনই তাকে সচেতন করুন। ধূমপান বন্ধ করা ছাড়া ফুসফুস ক্যান্সার থেকে বাঁচার কার্যকর উপায় নেই।
✍️ ধন্যবাদ।
Dr. S Hasan (ডা. এস হাসান)
ধুমপান করলে কি ফুসফুস ক্যান্সার হবেই নাকি?
হ্যাঁ, দীর্ঘদিন ধূমপান করলে ফুসফুস ক্যান্সারের সম্ভাবনা প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। ক্রনিক স্মোকারদের ৯৯% ক্ষেত্রে এ রোগ হয়।
ক্যান্সার কি শুধু সিগারেট খেলে হয় নাকি বিড়ি খেলেও হয়?
সিগারেট, বিড়ি দুটোই সমান ক্ষতিকর। দুটোর মাধ্যমেই ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি হয়।
ধূমপান ছেড়ে দিলে কি ক্যান্সারের ভয় কমে?
হ্যাঁ, ধূমপান ছেড়ে দিলে ঝুঁকি ধীরে ধীরে কমে। তবে যারা বহু বছর ধরে খেয়েছেন তাদের ঝুঁকি একেবারে শূন্য হয় না, তবে অনেকটাই কমে যায়।